নিউজ ডেস্কঃ ভারত থেকে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে মানুষকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ঠেলে দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, এ ধরনের ‘পুশ ইন’ ঠেকানো ফিজিক্যালি সম্ভব নয়, তবে কূটনৈতিক মাধ্যমে সমাধানের জন্য ভারতের সঙ্গে কনস্যুলার সংলাপে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (৩ জুন) গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন, “পুশ ইন হচ্ছে, আর এটি ফিজিক্যালি ঠেকানো সম্ভব নয়। তবে এ নিয়ে ভারতের সঙ্গে চিঠি চালাচালি হচ্ছে। আজ বা আগামীকাল আরও একটি চিঠি পাঠানো হবে।” বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতের কাছে ইতোমধ্যে বহুবার আপত্তি জানানো হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রের বরাতে জানা গেছে, গত এক মাসে ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অন্তত ২ হাজার মানুষকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে শুধু মিয়ানমারের নাগরিক নয়, বরং ভারতের নাগরিকও রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ কার্যক্রমকে বাংলাদেশ সরকার ‘পুশ ইন’ বলে উল্লেখ করছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।
তৌহিদ হোসেন জানান, প্রতি বছর দুই দেশের মধ্যে কনস্যুলার সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দুই দেশের নাগরিকদের চলাচল ও দূতাবাসীয় সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়।
“আমরা চাই, পুশ ইন ইস্যুটিও সেই সংলাপে আলোচনায় আসুক এবং এর সমাধান হোক পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে,”—বলেন তিনি।
ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ভারত সরকারের কাছে ফের চিঠি পাঠানো হবে বলে জানান উপদেষ্টা। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) গত জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। বিষয়টি ইতোমধ্যে কূটনৈতিকভাবে ভারতের নজরে আনা হয়েছে, এবং এ বিষয়ে পুনরায় আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া হবে।
বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও রাষ্ট্রগুলোর নির্বাচন বিষয়ে আগ্রহ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, “হ্যাঁ, অনেকেই জানতে চান জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে। তখন আমরা তাদের কাছে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও অগ্রগতি তুলে ধরি।”
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে খোলামেলা ও স্বচ্ছ সংলাপে বিশ্বাসী, এবং সংবিধান অনুযায়ী রাজনৈতিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।