রিপোর্টঃ আবদুল্লাহ আল মামুন
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চারটি ইউনিয়নকে (মরজাল, চানপুর, বাহেরচর, আমিরগঞ্জ) বেলাবো উপজেলার সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব ঘিরে স্থানীয় জনমনে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, এটি রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির একটি পদক্ষেপ, যা তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও রাজনৈতিক অধিকারকে ক্ষুণ্ন করবে। ২৮ আগস্ট রায়পুরায় ব্যাপক বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
রায়পুরার সাধারণ মানুষ ছাড়াও শিক্ষক, ব্যবসায়ী, কৃষক, তরুণ সমাজ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সকলে এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম বিশেষভাবে সক্রিয় হয়ে উঠে বলছে, এই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে রায়পুরার ঐতিহাসিক গুরুত্ব ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে হ্যাশট্যাগ প্রচার শুরু হয়েছে—“#SaveRaipura” এবং “#NoDivisionOfRaipura” নামে, যা স্থানীয় আন্দোলনকে আরও গতি দিয়েছে।

সমালোচকদের মতে, রায়পুরার চারটি ইউনিয়নকে বেলাবোর সঙ্গে যুক্ত করার কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও প্রশাসনিকভাবে রায়পুরা একটি ঐক্যবদ্ধ সত্তা। রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী ইউনিয়নগুলোকে আলাদা করে দিলে ভবিষ্যতে নির্বাচনী স্বার্থে বিভাজন তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া এই সিদ্ধান্ত জনগণের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করবে এবং প্রশাসনিক অচলাবস্থা তৈরি করবে।
পরিস্থিতির সম্ভাব্য পরিণতি
রায়পুরার মানুষ সতর্ক করে দিয়েছে, দাবি উপেক্ষা করা হলে আরও কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে তারা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত এই সংকট সমাধান না করা হলে রায়পুরায় দীর্ঘস্থায়ী অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলমান ক্ষোভ আরও ছড়িয়ে পড়ছে, যা জাতীয় পর্যায়ে আলোচনার জন্ম দিতে পারে। ফলে এ সিদ্ধান্ত বাতিল করা অথবা জনগণের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে পুনর্বিবেচনা করাই এখন জরুরি হয়ে উঠেছে।